প্রকাশিত: ০৩/০৪/২০১৯ ৯:০৮ এএম

নিউজ ডেস্ক::
রোহিঙ্গাদের যত দ্রুত নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা যাবে সেটা সবার জন্যই ভালো হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ব্রিটেনের নবনিযুক্ত হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি একথা বলেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম আলোচনার বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রোহিঙ্গাদের সেফটি ও সিকিউরিটি নিশ্চিত করে যত দ্রুত তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা যাবে, সেটা সকলের জন্যই মঙ্গলজনক হবে।”

মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন পীড়নের মুখে ২০১৭ সালের অগাস্ট থেকে কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। আগে থেকেই বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে এই জনগোষ্ঠীর আরও চার লাখ মানুষ।

ব্রিটিশ হাই কমিশনার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে তাদের দুরাবস্থা দেখার কথা তুলে ধরলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

“কিন্তু রোহিঙ্গারা বিপুল সংখ্যক, ইতোমধ্যেই ক্যাম্পে প্রায় ৪০ হাজার নবজাতক জন্মলাভ করেছে এবং তারা সংখ্যায় কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীকেও ছাড়িয়ে গেছে,” বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা এ সময় মিয়ানমার সরকারের কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।রোহিঙ্গাদের সফল প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের কথাও তুলে ধরেন তিনি।ব্রিটিশ হাই কমিশনার বৈঠকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সমাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের মাঝে এখন আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের মানুষের মাঝে প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।”

বাংলাদেশের সঙ্গে বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য কাজ করতে চায় বলে জানান তিনি।

ব্রিটিশ ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগে আগ্রহী বলেও জানান হাই কমিশনার।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়ার কথা উল্লেখ করে বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় প্রণোদনার কথাও তুলে ধরেন।

নবনিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনারকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের মধ্যে খুব ভালো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে এবং আমরা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এই সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে চাই।”

দেশের রপ্তানি খাতকে সম্প্রসারণে তার সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা আমাদের রপ্তানিকে বহুমুখীকরণ করে রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা আরও বাড়াতে চাই।”

শেখ হাসিনা এ সময় গৃহহীনদের ঘর-বাড়ি করে দেওয়াসহ তার সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের কর্মসূচিও বিস্তারিত তুলে ধরেন।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত

কঠোর নির্দেশনার পরও মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা ছাড়ছে না ভোটের মাঠ

সরকারদলীয় এমপি-মন্ত্রীদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নিতে কঠোর নির্দেশনা ...